রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১২:৩৯ অপরাহ্ন

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: চূড়ান্ত ফল প্রকাশ কবে

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: চূড়ান্ত ফল প্রকাশ কবে

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী মাসের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সপ্তাহে। সম্প্রতি আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিইপি) মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত। তবে তা ডিসেম্বরেও গড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, আশা করছি নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সপ্তাহে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে।

তবে নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল মঙ্গলবার বলেন, নানা প্রশাসনিক জটিলতার কারণে নভেম্বর মাসে ফল প্রকাশ সম্ভব নাও হতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত ডিসেম্বর মাসে গড়িয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে সব জেলার মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। কিন্তু যাঁরা মৌখিক পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমান উত্তীর্ণ প্রার্থী বাছাই নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সমাধানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। এ জন্য বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হয়েছে। কিছুদিন আগে এ-সংক্রান্ত চিঠি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ডিইপিতে এসেছে।

অবিলম্বে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, শিগগির বৈঠক করে সব তথ্য-উপাত্ত চূড়ান্ত করব। এরপর ফল প্রস্তুতের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) জানানো হবে। তারা ফল প্রস্তুত করে ডিইপিতে পাঠালে ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।

যা আছে নিয়োগ বিধিতে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯-এর ৮ ধারার ২ নম্বর উপধারাতে (ঘ) বলা হয়েছে, ‘নির্ধারিত কোটার শিক্ষকদের মধ্যে প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে (নারী ৬০ শতাংশ, পোষ্য ২০ শতাংশ ও অবশিষ্ট পুরুষ শতাংশ) অবশ্যই ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে শর্ত থাকে, এভাবে ২০ শতাংশ কোটা পূরণ না হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে।’

জানা গেছে, এ নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হলেও, চূড়ান্ত ফল একবারেই প্রকাশ করা হতে পারে। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন।

২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। পরে অবসর নেওয়ার কারণে আরও ১০ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়। এ জন্য একসঙ্গে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। এ নিয়োগ পরীক্ষায় মোট আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী।

বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ শিক্ষক ১ লাখ ২৭ হাজার ৮০৯ এবং নারী শিক্ষক ২ লাখ ৩১ হাজার ২৮৬ জন।

 

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




Archive Calendar

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  




All rights reserved@KathaliaBarta 2023
Design By Rana